মেডিসিনাল নারিকেল তেল কিভাবে ব্যবহার করবেন

                        মেডিসিন্যাল কোকোনাট অয়েল বা ওষুধি নারিকেল তেল

 


সব নারিকেল তেলই ওষুধি বা মেডিসিন্যাল নয়। শুধু অর্গানিক, র, আনফিল্টার্ড, এক্সট্রাভার্জিন  এবং সেন্ট্রিফিউজাল পদ্ধতিতে উৎপাদিত নারিকেল তেলকে বলা হয় মেডিসিন্যাল বা ওষুধিগুণসমৃদ্ধ তেল। সেন্ট্রিফিউজাল পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতিতে উৎপাদিত নারিকেল তেলকে মেডিসিন্যাল বলা যাবে না। সেগুলো অর্গানিক হতে পারে কিন্তু মেডিসিন্যাল নয়।

 

মেডিসিন্যাল নারিকেল তেল উৎপাদনের পদ্ধতি

অর্গানিক নারিকেল থেকে দুধ করা হয়। এরপর সেন্টিফিউজান পদ্ধতিতে কোনো তাপ ছাড়াই মেডিসিন্যাল এ তেল উৎপাদন করা হয়। এবং এই তেল সংরক্ষণে কোনো কেমিক্যাল যোগ করা হয় না। সেন্ট্রিফিউজান পদ্ধতিতে উৎপাদন ছাড়া অন্য কোনোভাবে প্রস্তুতকৃত নারিকেল তেল মেডিসিন্যাল নয়। এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত নারিকেল তেলের একটি সুবিধা হচ্ছে যে, কমপক্ষে ৫ বছর এর গুনাগুন অটুট থাকে এবং নষ্ট হয় না। অন্য নারিকেল তেলগুলো হিটপ্রেস বা প্রচণ্ড তাপ দিয়ে উৎপাদন করায় এর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। যার কারনে হিটপ্রেসের পাশাপাশি বাজারের বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত তেলগুলোতে কেমিক্যাল মেশানো হয় দীর্ঘ দিন সংরক্ষণের জন্য। এ কারনে এগুলো দেহে নানারকম জটিলতা সৃষ্টি করে, বিশেষ করে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও ডিজেনারোটিভ রোগ সৃষ্টি তরান্বিত করে। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য, এক কেজি সরিষা বা অন্যান্য বীজ থেকে কোল্ডপ্রেসের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২৫০ থেকে ৩৫০ গ্রাম তেল পাওয়া যায়। এর বেশি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ঘানিভাঙ্গা তেল যেখানে উৎপাদন হয়, সেখানে খোজ নিয়ে দেখতে পারেন। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত তেলের ক্ষেত্রে, প্রচণ্ড তাপের মাধ্যমে এক কেজি বীজ থেকে প্রায় এক কেজি তেল বের করা হয়। আবার কয়েক বছর সংরক্ষণের জন্য এর সাথে কেমিক্যাল মেশানো হয়। সে কারনে এসব তেল কোনোভাবেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এগুলোকে অক্সিডাইজড বা নষ্ট তেল বলা হয়। অন্য দিকে মেডিসিন্যাল কোকোনাট অয়েল সরাসরি খাদ্য হিসাবে, খাবার তৈরিতে এবং বিভিন্ন ডিজেনারোটিভ ও সংক্রমণজনিত রোগের ওষুধ হিসাবে পান করা হয়। এ তেলের অন্যতম গুণ হলো- অতিরিক্ত তাপ, আলো ও বাতাসেও এর উপকারী উপাদান অটুট থাকে। ফলে হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারন অক্সিডাইজড বা খারাপ কোলেস্টেরল দেহে জমা হয় না। এ ছাড়াও মেডিসিন্যাল কোকোনাট অয়েল পরিপাক বা হজমে অতিরিক্ত ডাইজেস্টিভ এনজাইম ও ইনসুলিন প্রয়োজন পড়ে না; এটি সরাসরি দেহে শক্তি যোগান দেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এ তেল খুবই উপযোগী। যারা ইতোমধ্যে পিত্তথলি অপারেশন (ফেলে দিয়েছেন) করিয়েছেন এবং যাদের বড় লিভার (ফ্যাটি লিভার) তাদের জন্য এ তেল খুবই উপযোগী। এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে শুধু এ তেল ব্যাবহারই নিরাপদ। এ তেলের সব ধরনের ওষুধি বৈশিষ্ট্য বৈজ্ঞানিকভাবে ভেন্টেজ ন্যাচারাল হেলথ ক্লিনিকে প্রমাণিত।

কেবল ত্বক আর চুলের যত্নেই নয় স্বাস্থ্যসম্মত খাবারদাবারেও দারুণ পুষ্টিগুণ যোগ করতে পারে নারকেল তেল। কেউ কেউ মনে করেন রান্নায় নারকেল তেল খুব একটা ভালো না এবং এই তেল খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়তে পারে! কিন্তু এটা ঠিক না। টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে নারকেল তেলের কিছু অনন্য পুষ্টিগুণের কথা জানিয়েছে। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ নারকেল তেলের অন্যতম স্বাস্থ্য সুবিধা হল এটা ‘ব্লাড সুগার’ বা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। বিশেষত যাঁদের ডায়াবেটিস আছে এবং যাঁরা রক্তে শর্করার উচ্চমাত্রা সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছেন—তাঁদের জন্য প্রাত্যহিক খাবারদাবারে পরিমিত মাত্রার নারকেল তেল খুবই উপকারী। নারকেল তেল ব্লাড সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

 

হৃদরোগ

 

আমরা জানি নারকেল তেলের অধিকাংশই সম্পৃক্ত ফ্যাট দিয়ে তৈরি। এতে উদ্বেগের কারণ নেই।আমরা বেশিরভাগ জনই জানি না সেই স্যাচুরেটেড ফ্যাট কিন্তু হার্টের অসুখের কারণ নয়। গবেষণা করে জানা গিয়েছে যে, এই স্যাচুরেটেড ফ্যাট দেহে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ফলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। ব্রাজিলে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, নারকেল তেল ৪০ জন মহিলার দেহে খারাপ কোলেস্টেরল সহ সমগ্র কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা সমানভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।

 

কোলেস্টেরল কম


অতিরিক্ত কোলেস্টেরল নিয়ে সমস্যায় থাকলে নারকেল তেল খেতে পারেন। নারকেল তেলে ভালো মাত্রায় ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট’ আছে। লুরিক অ্যাসিড নামের এই ফ্যাট রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রায় ভারসাম্য এনে হূদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই তেল থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক কর্মপ্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় নারকেল তেলের এই পুষ্টিগুণের কথা হয়তো অনেকেই মাথায় রাখেন না। প্রতিদিন অল্পমাত্রায় নারকেল তেল খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে। মৌসুমি ফ্লু থেকে নিস্তার পেতেও কাজে লাগে নারকেল তেলের ওষুধি গুণ। আর ইস্ট, ফাঙ্গাস এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দমনে দারুণ উপকারী নারকেল তেল।

 

হজমে সহায়ক


যদি পরিপাকতন্ত্রের গোলযোগে ভুগে থাকেন এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত রান্নাবান্নায় নারকেল তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। পেটের পীড়া এবং পাকস্থলীর গোলযোগ সারাতেও কাজে লাগে এই তেল। নারকেল তেল পরিপাকে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সহায়ক। খাবারে নারকেল তেল ব্যবহার কঠিন কিছু নয়; নিয়মিত রান্নার পাশাপাশি মাখনের বিকল্প হিসেবে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। আর বাজারের ভেজিটেবল অয়েলের বিকল্প হিসেবেও এটা খাওয়া যেতে পারে।

 

ওজন কমাতে


ওপরে যেমন বলা হয়েছে যে, থাইরয়েড গ্রন্থির কাজে সহায়তা করে নারকেল তেল আপনার পরিপাক যন্ত্রকে সবল ও আরও ক্রিয়াশীল করে তুলতে পারে। আর এই প্রক্রিয়ায় নারকেল তেল শরীরে অপ্রয়োজনীয় ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খাবারে দুই টেবিল চামচ পরিমাণ নারকেল তেল যুক্ত করে শরীরে জমা হওয়া অতিরিক্ত ‘অ্যাবডোমিনাল ফ্যাট’ কমিয়ে ফেলুন। এতে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

 

চুল আর ত্বকের যত্নে


নারকেল তেল ব্যবহার করে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক আর ঝলমলে চুলের অধিকারী হন। ময়েশ্চারাইজার এবং লোশনের মতো করে ত্বকে এই তেল মাখতে পারেন। শুষ্ক খরখরে চুলকে সুন্দর আর সবল করতে নারকেল তেল হালকা আঁচে গরম করে নিন, চুলে মাখুন এবং মিনিট দশেক রেখে দিন। গোসলের সময় শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সপ্তাহে দুই তিন দিন এভাবে নারকেল তেল ব্যবহারে চুল হবে ঝলমলে ও স্বাস্থ্যে উজ্জ্বল।


বয়সের ছাপ কমাতে


বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, নারকেল তেল বয়সের ছাপ পড়া থেকে বাঁচাতে পারে। এই তেলের উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের সুরক্ষায় দারুণ উপকারী। ত্বকে বলিরেখা পড়া, আঁচড় ও বাড়তি দাগ দূর করতেও খুবই উপকারী ভিটামিন ‘ই’ সমৃদ্ধ নারকেল তেল।

প্রতিদিন সকালে খালিপেটে এক-চামুচ পরিমান এই নারিকেল তেল খেলে আপনি বহু স্বাস্থ্য উপকারীতা পাবেন, আসুন জেনে নিই বিস্তারিত –


নারিকেল তেলের মধ্য উপকারী ফ্যাটি এসিড ও গুরুত্বপূর্ণ ওষুধি গুণ রয়েছেঃ


নারিকেল তেলে উচ্চ মাত্রায় স্বাস্থকর স্যাচুরেটেট ফ্যাট আছে যা শরীরে ক্ষতিকর অন্যান্য ফ্যাট অপসারনে ভুমিকা রাখে, নারিকেল তেল শরীরে উপকারী HDL কোলেস্টেরল উৎপাদন করে যা হার্ট কে সুস্থ রাখে।

 

নারিকেল তেল নিয়মিত খাওয়া লোকেরা অন্যান্যদের চেয়ে বেশী সুস্থ হয়ে থাকে :


দীর্ঘ দিনে গবেষনায় জানা গেছে যে নিয়মিত নারিকেল তেল খাওয়া লোকরা , নারিকেল তেল না খাওয়া লোকেদের চেয়ে অনেক সুস্থ, স্বাস্থ সচেতন সকল পশ্চিমারা তদের প্রতিদিনের খাবারের মেনূতে নারিকেল তেল এড করে নিয়েছেন, আরেকটি গবেষনায় জানা গেছে যে দক্ষিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার সাধারন মানুষ রা তাদের প্রয়োজনীয় ৬০% ক্যালোরি নেন নারিকেল থেকে এবং তাদের মধ্যে হার্টের অসুখ নেই বললেই চলে।


নারকেল তেল ক্ষতিকারক অণুজীবকে হত্যা করতে পারেঃ


নারিকেল তেলের ফ্যাটি এসিডের খুবই মজার ও শক্তিশালী একটা বৈশিষ্ট্য আছে , তাহলো, এটি আপনার শরীরে ক্ষুধা ও ফুড ডিপ্রেশন কমিয়ে দিবে, যা আপনার ওজন কমানো ডায়েটিং এ খুবই কার্যকর সহয়ক।


নারকেলের ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি খিঁচুনি হ্রাস করতে পারেঃ


নারিকেল তেলের MCT শরীরে রক্তের ঘনত্বের ভারসাম্য রাখে যা বিভিন্ন প্রকার খিচুনি সহ মৃগী রগ নিরাময়ে সহায়ক।


নারকেল তেল উপকারী কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করেঃ


কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে নারকেল তেল রক্তে এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে যা উন্নত বিপাকীয় কার্যক্রম বজায় রেখে শরিরকে নিশ্চিত ভাবে হার্টের সকল প্রকার রোগের ঝুকি মুক্ত রাখে নারকেল তেল আপনার ত্বক, চুল এবং দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারে শুস্ক ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে নারিকেল তেলের জুড়ি নাই, এটি একজিমা প্রতিরধে সহায়ক ,চুল কেও ক্ষতির হাত থেকে এটি বাচায় , গবেষনায় দেখা গেছে যে , সুর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্নি থকে বক্ষা করে, আরেকটি পরীক্ষায় দেখা গেছে যে , নারিকেল তেলে থাকে এন্টি ব্যকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের উপরে থাকা ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়া নির্মুল করে।


নারকেল তেলের ফ্যাটি অ্যাসিড আলঝেইমার রোগীদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলতে পারেঃ


আলঝেইমারস রগটি মুলত বয়স্কদের বেশী হয় যাতে মস্তিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় , আলঝেইমারস রোগিদের মস্তিস্কের কিছু অংশ কোন প্রকার গ্লুকোজ ব্যবহারের শক্তি হারিয়ে ফেলে,প্রাথমিক গবেষণায় বলা হয় যে, নারিকেল তেলে থাকা MCT আলঝাইমার রোগীদের মস্তিষ্কের কোষের জন্য শক্তি সরবরাহ করে এবং এই রোগের লক্ষন থেকে মুক্তি দিতে পারে।

 

নারিকেল তেল ক্ষতিকারক পেটের চর্বি কমাতে সক্ষমঃ

 

যেহেতু নারিকেল তেল ক্ষুধা কমিয়ে দেয় কাজেই এটি প্রমানিত যে এটি ওজন কমানো ডায়েট মেইন্টেইনে খুবই সহায়তা করে, আর আপনার ফিটনেসের শত্রু তলপেটের চর্বি গলাতে নারিকেল তেলের ভুমিকা অসাধারন,কাজেই বুঝতেই পারছেন নারিকেল তেল কতটা উপকারী আপনার স্বাস্থের জন্য, তাই পুরাতন মান্ধাতা আমলের ভুল অভ্যাস গুলি বাদ দিয়ে আজই আপনার খাবারের তালিকায় নারিকেল তেল যোগ করুন, তবে তেলটি অবশ্যই হতে হবে নির্ভেজাল ও খাটি।

 

এ্যার্নাজি বৃদ্ধিতে :

 

খাবার উপযুক্ত নারিকেল তেল প্রতিদিন খেলে তা দেহের এনার্জি বৃদ্ধি করে। এছাড়া নারিকেল তেলের থাকা অ্যাসিড মস্তিষ্ক রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। তবে রান্নায় বিশুদ্ধ নারকেল তেল ব্যবহার করা উচিত। ছোটখাটো জ্বালাপোড়া: হঠাৎ করে হাত পুড়ে গেলে সেখানে কিছু পরিমাণ নারিকেল তেল ব্যবহার করুন। দেখবেন জ্বালাপোড়া অনেকটা কমে গেছে। কিছুক্ষণ পর পর পুড়ে যাওয়া স্থানে নারকেল তেল ব্যবহার করুন। ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে: ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে নারিকেল ব্যবহার করা হয়। লোশন ব্যবহার না করে ত্বকে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং রিংকেল দূর করে দেয়। হজমের সমস্যা দূর করতে: নারিকেল তেলে কিছু উপকারি ফ্যাট রয়েছে। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান পাকস্থলির ইনফেকশন দূর করে। ফলে হজমের সমস্যা দূর হয়।


অনিদ্রা দূর করতে  : 

 ঘুমের সমস্যা দূর করে নারিকেল তেল। প্রতিদিন তিন টেবিল চামচ বিশুদ্ধ নারিকেল পান করুন। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া ঠিক রাখে। যা আপনাকে ভালো ঘুমে সহায়তা করে। ব্যথা প্রশমিত করতে: জয়েন্টের ব্যথা কিংবা হাঁটু ব্যথাতে কুসুম গরম নারিকেল তেল ম্যাসাজ করুন। এটি ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। বলিরেখা দূর করতে: বলিরেখা এবং রিংকেল প্রতিরোধ করতে নারিকেলের জুড়ি নেই। দিনে দুইবার ত্বকে নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে লাগান। এটি নিয়মিত করুন। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকে বলিরেখা পড়া রোধ করে।

 

ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে:

 

ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে বগলে কিছু পরিমাণ নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে লাগান। নারকেল তেলে থাকা উপাদান ঘাম শুষে নেয়, যা দুর্গন্ধ হওয়া রোধ করে।

কাজেই বুঝতেই পারছেন নারিকেল তেল কতটা উপকারী আপনার স্বাস্থের জন্য, তাই পুরাতন মান্ধাতা আমলের ভুল অভ্যাস গুলি বাদ দিয়ে আজই আপনার খাবারের তালিকায় নারিকেল তেল যোগ করুন, তবে তেলটি অবশ্যই হতে হবে নির্ভেজাল ও খাটি।
মেডিসিন্যাল কোকোনাট অয়েল এর ওষুধি গুনাগুন এবং ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে স্যারের প্লে-লিস্টের ভিডিও গুলো দেখুন।

 

 

প্রয়োজনীয় অর্গানিক পন্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং পন্য অর্ডার করতে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন
WhatsApp No: 01323-723392,01323-724019
অথবা সরাসরি পন্য সংগ্রহ করতে পারেন আমাদের এই ঠিকানায়ঃ ভেন্টেজ এন্টারপ্রাইজ, ১৯৯/১ শান্তিবাগ
ঢাকা-১২১৭
পন্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে
Website Link: https://www.vantage.com.bd/
Google Maps Link: https://goo.gl/maps/WpjeY5oc6uXHkD5AA

 

ডা. মুজিবুর রহমান
এম.ডি, কার্ডিওলজিস্ট, ফাউন্ডার ভেন্টেজ ন্যাচারাল হেলথ সেন্টার।